কঠোর লকডাউন শিথিলের পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার ভোরের দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ে যানবাহনের গতি কিছুটা ধীর ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায় ভোগান্তির এ মহাসড়কে।
সকালে দেখা যায়, এ মহাসড়কে বর্তমানে ট্রাকের রাজত্ব চলছে। যানবাহনের মধ্যে ৮০ শতাংশই ট্রাক।
মহাসড়কের পাশের দোকানদার মোহাম্মদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রাক প্রচুর পরিমাণে চলছে এই রাস্তা দিয়ে। বাসের সংখ্যা কমই দেখছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সকাল ৭টায় দোকান খুলছি। তারপর থেকে শুধু ট্রাক আর ট্রাক। কোরবানির ঈদের জন্য ঢাকায় হাট ধরতে উত্তরবঙ্গ থেকে গরুবোঝাই করে ট্রাক যাচ্ছে। আবার সেগুলো ঢাকা থেকে মানুষ নিয়ে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছে। তাই এতো চাপ ট্রাকের।’
জুয়েল রানা নামে এক যাত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি বাসে করে বাড়ি ফিরব বলে। কিন্তু কপালে মনে হয় বাসে করে যাওয়া হবে না। যে ভাড়া চায়, তাতে আমার পোষাবে না। তাই ট্রাকে করেই বাড়ি ফিরব; ওরা ভাড়া অনেক কম নেয়।’
ট্রাকচালক পারভেজ বলেন, ‘সামনে কোরবানির ঈদ, তাই পশু নিয়ে ঢাকার হাটে যাই। কিন্তু যখন আবার উত্তরবঙ্গে যাই, তখন খালি যায়তে হয়। তখন কোনো যাত্রী সিগনাল দিলে উঠিয়ে নিয়ে যাই। তাতে আমাগোও কিছু টাকা আসে।’
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, দেশে লকডাউন শিথিল হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকেই এ মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ পরিবহন চলাচল করায় রাত থেকে মহাসড়কে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলাচল করছে।
কোথাও কোথাও জটলা সৃষ্টি হলেও বড় ধরনের যানজট এখনও হয়নি। সড়ক সচল রাখতে তারা কাজ করছেন।
প্রতি ঈদেই তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তির এ মহাসড়কে এবার চাপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের নলকা ব্রিজ ও পশ্চিমপাড় অংশে মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় সেখানকার পরিবহনের চাপও টাঙ্গাইল অংশে এসে পড়ছে।